হিন্দু মেয়ে কেন মুসলিম হচ্ছে- এর পিছনে কারা দায়ী?

হিন্দু মেয়ে কেন, হিন্দু মেয়ে মুসলিম হওয়ার কারন
ভারত উপমহাদেশে, বাংলাদেশ ও অন্নান্য দেশের অহিন্দুদের ধর্ম বিস্তারের প্রধান হাতিয়ার ছিল হিন্দু মেয়ে বিবাহ করা। হাজার বছর আগে থেকে হিন্দু রাজাদের একের পর এক পরাজিত করে, তাদের স্ত্রী এবং কন্যাদের জোড় করে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করেছে। সাধারণ জনগণকে বাধ্য করা হয়েছে। পরাধীন হিন্দুগণ জান - মালের ভয়ে, অস্তিত্ত্ব ও জীবন রক্ষার্থে অহিন্দুর ধর্ম গ্রহণ করেছে অথবা নির্যাতন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন বা মৃত্যুকে স্বীকার করে নিত। হিন্দু মেয়েদের জোর করে তােলে নিয়ে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করা, যেন ভাত খাওয়ার মত অবস্থা ছিল। বর্তমানেও বহু হিন্দু মেয়েদের একই পরিণীতি হচ্ছে। হয় তাদের জোড় করে তােলে নেওয়া হচ্ছে অথবা প্রেমের ফাঁদে পড়ে নিজেই চলে যাচ্ছে। বর্তমান সমাজে পরেরটা বেশি দেখা যাচ্ছে । আমাদের এখন জানা দরকার, কেন এমনটা হচ্ছে, কি এর পরিণাম এবং কি এর সমাধান।

কেন এমন হচ্ছে :

সব থেকে বড় কারন হচ্ছে আমাদের ধর্মের জাতিভেদকে বেশি প্রাধন্য দেওয়া। বাবা মা সেই ছোট বেলা থেকে এই শিক্ষা দিয়ে আচ্ছে ওরা নিচু জাতি আমরা উচ্চু জাতি, আমরা রাজবংশি,আমরা ব্রাহ্মন। সেই শিক্ষায় ছেলে মেয়েরা নিচু জাতির ছেলে মেয়েকে বন্ধু হিসাবে মেনে নিতে না পেরে , সঙ্গিহীনতায় না থাকতে পেরে অন্য ধর্মীরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বেধর্মী হয়ে যায়। আমি সেই সকল বাবা মাকে বলতে চাই আপনার মেয়ে কী উচু জাতির উচ্চ সীমা পার হয় নাই ? আজ এবিষয়ে বলবো না,জাতি ভেদ নিয়ে পরবর্তি দীর্ঘ একটা পোষ্ট হবে ! জেনে নেই কেন এমন হচ্ছে:


১। নিজের ধর্ম সম্পর্কে হিন্দু যুবক-যুবতীগণ একেবারেই অজ্ঞ। তাদের পরিবার থেকে সনাতন ধর্মীয় জ্ঞান তাদের দেওয়া হয় না। তাদের শেখানো হয় না তােমাদের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ''ভগবান শ্রীকৃষ্ণ'' তােমাদের একটি প্রধান শাস্ত্র ''গীত'', তােমাদের একটিই মন্ত্র ''হরে কৃষ্ণ'' মহামন্ত্র । তাদেরকে এই শিক্ষাও দেওয়া হয় না, সনাতন ধর্ম পৃথিবীর আদি ধর্ম এবং এই ধর্মের প্রবর্তক স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, এমনকি মাত্র ৫০০ বছর আগে স্বয়ং শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু রুপে এসে শিক্ষা দিয়ে গেলেন, এই কলিযুগে একমাত্র হরে কৃষ্ণ কীর্তনই হচ্ছে জীবের মুক্তি। এছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। বর্তমান ছেলেমেয়েরা যদি এই শিক্ষাগুলাে লাভ করত, তাহলে তারা মৃত্যুকে বরণ করে নিত, তবু হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে নরকের দিকে পা বাড়াত না।

২। একজন হিন্দুকে ছােট বেলায় শেখানাে হয়, সবার উপরে মানুষ, কিন্তু এটা শেখানাে হয় না। তুমি প্রথমে হিন্দু তারপর মানুষ । অপরদিকে অহিন্দুদের শিখানাে হয় তার ধর্ম, তারপর সে মানুষ।

৩। ধর্ম সম্পকে অজ্ঞতার কারনে, একদম শিশু শ্রেণী থেকে পদে পদে লাঞ্চিত হতে হয়। সহপাঠীর কাছ থেকে শুনতে হয় তরা হিন্দু, তদের ধর্ম ভুল। বড়দের কাছে শুনতে হয়, তারা সংখ্যালঘু, তরা দূর্বল। এই ভাবে হিন্দু শিশুদের সব সময় মানসিক ধর্ষণের শিকার হতে হয়। এছাড়া পাঠ্য বইয়ে হিন্দু রাজাদের পরাজিত করে অহিন্দু রাজাদের বীরত্ব মাখা গল্প এগুলাে পড়ে শিক্ষার্থীরা মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে যায়।

৪। হিন্দুদের কাছে অহিন্দুদের সংস্কৃতি সম্পর্কে এক রকম অজানা। অজানা বাহ্যিক চাকচিক্যের আকর্ষণ রয়েছে। ভিতরের জিনিস সহজে জানা যায় না, বাহিরের টাই দেখা যায়। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, সংবাদপত্র গুলােকে হিন্দুদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কিছু প্রচার করা হয়। আবার সনাতন শাস্ত্র থেকে ভুল তথ্য দিয়ে হিন্দুদের বিপথগামী করার চেষ্টা করা হয়। অপর দিকে হিন্দুদের প্রচার নেই বললেই চলে।

দেব দেবী পূজার রহস্যঃ এখানে ক্লিক করুন শ্রাদ্ধ ও কুসংস্কারঃএখানে ক্লিক করুন যত মত তত পথ-এখানে ক্লিক করুন

৫। নর-নারী প্রত্যেকের মাঝে যৌন আকর্ষণ কম বেশি বিদ্যমান। হিন্দু মেয়েদের এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করার সুযােগ অনেক কম। কারণ তারা মামাতাে, কাকাতাে সব রকম ভাইকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। বর্তমানে কুরুচি নাটক-সিনেমা দেখে যদি কেউ এ বিষয়ে আকর্ষিত হয়, তবে এর সুযােগ গ্রহণ করে অহিন্দু যুবকগণ। অহিন্দুদের রাজসিক খাদ্য মাছ, মাংস, ডিম এগুলাে বেশি খাওয়ার কারনে, তাদের মন এমনিতেই কুচিন্তার ভরা থাকে। তাই যেখানে অহিন্দুর সংখ্যা বেশি সেখানে এই ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যায়।

৬। প্রেম-একে বলা যায় মরণ ফাঁদ। হিন্দুদের ধর্মান্তরের প্রধান মাধ্যম হলাে প্রেম। অহিন্দু যুবকগণ হিন্দু মেয়েদের প্রতি যেন একটু বেশিই আকর্ষণ বােধ করে । আর অজ্ঞান মেয়েগুলােও খুব সহজেই এই মােহে আক্রান্ত হয়। তাছাড়া অহিন্দু বন্ধুর সাথে মিশতে মিশতে ভাল সম্পর্ক তৈরী হয়ে গেলে বা কারও প্রতি মুগ্ধ হয়ে গেলে মেয়েরা ফাঁদে পড়ে যায়। এখন ঐ যুবকের প্রলােভনের অনুরােধ উপেক্ষা করা অনেক ক্ষেত্রেই আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। এখানে বাবা মা- ভাইদের কিছু অসচেনতার অভাব রয়েছে। তাদের মেয়ে স্কুল-কলেজের নাম করে অন্য কোথাও যায় কি না লক্ষ রাখে না। আবার তাদের মেয়ে বাহির বাড়িতে পাঁচ মিনিট থাকলে চিন্তা করে, রাস্তা দিয়ে কত বাজে ছেলে যেতে পারে, তাদের মেয়ের কোন ক্ষতি করতে পারে । কিন্তু এই মেয়েই কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য দূরে থাকে, তখন বাবা-মায়েরা নিশ্চিত থাকে, আমাদের মেয়ে ভাল আছে, পড়াশােনা করছে। বাবা-মার নিয়ন্ত্রন হীন কোন মেয়ে ভাল থাকে, এরকম সংখ্যা খুবই কম; বাহ্যিক ভাবে তারা যাই দেখাক। বিশ্ববিদ্যালয় গুলাে ঘুরলে দেখা যায় ১০০ জন হিন্দু মেয়ে থাকলে, প্রায় ৫০ জনই অহিন্দুদের সাথে প্রেম করে। প্রেমের কয়েক বছরে কিছু ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়, বাকীগুলাে ধর্মান্তরিত হয়ে অহিন্দু যুবকদের বিয়ে করে।

৭। অনেক মেয়ের ধারণা রয়েছে অহিন্দু যুবকদের সেক্স বেশি। কিন্তু এই মেয়েরা চিন্তা করে না, তাহলে তাদের পরিবারের এত বেশি ভাঙ্গন কেন। তাদের স্ত্রীদের ব্যভিচারের এত আধিক্য কেন? পর পুরুষের হাত ধরে স্বামী সন্তানের মায়া ফেলে পালায় কেন? এ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে না এক জন হিন্দু মেয়ে ।

৮। হিন্দু মেয়েরা নিজেদের দেহকে পবিত্র মনে করে। একবার মােহবশত কোন অহিন্দু ছেলের সাথে শারীরিক মিলন হলে তারা আর ফিরে আসতে চায় না। তারা নিজেদের তখন অপবিত্র মনে করে।

৯। পূন্য ও পূণ্যস্থান প্রাপ্তির আশার অহিন্দু নারী ও পুরুষ উভয়েই উদগ্রীব থাকে, যে কোন অহিন্দু ছেলে হিন্দু মেয়ে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করলে, পরিবারের সবাই তাকে এ কাজে সহায়তা করে, এ জন্য যে এর পণ্য পরিবারের সকলে ভােগ করতে পারবে। ফলে অহিন্দু ছেলেটি উৎসাহ পায় । একই ভাবে অহিন্দু মেয়ে হিন্দু ছেলে শিকার করতে উৎসাহী ও উদ্ধগ্রীব হয় । ফলে অহিন্দু ছেলে ও মেয়েদের কুমন্ত্রণা ও প্রলোভনে হিন্দু মেয়ে ছেলেদের ধর্মান্তরের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

১০। বিশেষত অহিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় হিন্দুদের জমি, সম্পত্তি ও নারীদের ওপর দুবৃত্তদের নজর পড়ে বেশি। হিন্দুদের ওপরে নীরব অত্যাচার একটি সাধারণ ঘটনা। জীবন, সম্পত্তি, সুখ-শান্তি ও সম্মান রক্ষার্থে অনেক সময়ই হিন্দু মেয়েদের উৎসর্গ করতে হয় অহিন্দুদের হাতে।

তথাকথিত সন্দরী ও স্মার্ট হিন্দু মেয়েগুলো তাদের যােগ্য হিন্দু বন্ধু অনেক ক্ষেত্রেই খুঁজে পায় না। অহিন্দু ছেলেদের মধ্যে তাদের খোজা স্মাট গুনগুলাে উপস্থিতি দেখে তাদের চাকচিক্যের প্রতিই এরা বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। অহিন্দু যুবকরাও এই সুযােগটার সদ্ব্যবহার করে। এক সময় নিজের অজ্ঞাতেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, মনে করে এই সম্পর্ক হতে সে বেরিয়ে আসতে পারবে এবং বিয়ে পর্যন্ত গড়াবে না। কিন্তু যখন বুঝতে পারে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়, ফেরার উপায় থাকে না। আর অহিন্দু বন্ধুর উদার বাণীগুলোও তাকে মুগ্ধ করে রাখে। তাদের অভিসন্ধি বােঝার মত বুদ্ধি তখন তার আর থাকে না। তখন ধর্ম, মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন কারাের বন্ধনই আর আটকে রাখতে পারে না।

কি এর পরিণাম- সামাজিকঃ

হিন্দু মেয়ে কেন মুসলিম হয়


১। বিবাহের সুখ ও যৌনতার মােহ খুব বেশিদিন থাকে না। প্রেমঘটিত বিয়ের পর অহিন্দু পরিবারে হিন্দু স্ত্রীগণকে বাস্তব জীবনের কষাঘাতে পদে পদে লাঞ্চিত ও অপমানিত হতে হয়। সঙ্গী হয় সারা জীবনের কান্না !

২। অহিন্দু-হিন্দু স্ত্রীদেরকে প্রথমত সাদরে গ্রহণ করা হলেও খুব শীঘ্রই তাদের উপর অহিন্দুর বিধানগুলাে কাল হয়ে আসে। একাকী বের হওয়া যাবে না, ছবি তােলা ও চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ, বিশেষ পােশাক পরতে বাধ্য হওয়া, নতুন উপাসনা চাপিয়ে দেওয়া, ব্যক্তি স্বাধীনতার অনুপস্থিতি, পূর্বে নিরামিষ আহারী হলেও পিয়াজ, রসুন ও নিষিদ্ধ মাংস নিয়মিত বিড়ম্বনা তখন নিত্য সঙ্গী হয়। শ্বাশুড়ি বা ননদের এমন কি স্বামীর অত্যাচারের স্বীকার হলেও প্রতিবাদ করার উপায় থাকে না। কারন স্বামী খুব সহজেই তাকে তালাক দিতে পারে। এমন কি সন্তানসহ তালাকও দিতে পারে। তখন হিন্দু স্ত্রীর পায়ের নিচে আর কোন মাটি থাকে না। এক কথায় স্বামীর সংসারে তাকে দাসী হয়ে জীবনটা কাটাতে হয়।

৩। হিন্দু মেয়েরা অহিন্দু পুরুষ বিয়ে করলে সাধারণত তার নিজের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন হতে ত্যাজ্য হয়ে যায়। একমাত্র স্বামী ছাড়া সে নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে সকল অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়।

৪। মেয়েরা শ্বশুড় বাড়ি এসে বাবার বাড়ির অহংকার করে থাকে। গল্প করে থাকে। তার বিপদে-আপদে বাবা-ভাইয়েরা এগিয়ে আসবে- এই বিশ্বাসটুকু তাদের থাকে। কোন কারণে শশুড়বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হলে মাথা গােজার ঠাই বা আশ্রয়টুকু তার থাকবে- এই ভরসা থাকে। কিন্তু কেউ ধর্মান্তরিত হলে তার পরিণতি কত জগন্য, এর উদাহরণ সমাজে অনেক রয়েছে।

৫। শ্বশুড় বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ, জা এবং আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক প্রায়ই ''মালাউনের মেয়ে'' বলে গালি শুনতে হয়।

৬। অহিন্দু মতে তালাক বললেই সম্পর্ক শেষ । যৌন আকর্ষণ বিয়ের পর খুব বেশিদিন থাকে না।তারপর শুরু হয় বাস্তবতা। একজন পুরুষের একই সাথে কয়েকটি বিয়ে করা বৈধ। একজন স্ত্রীর প্রতি মােহ কমে গেলে বা নতুন কোন নারীর প্রতি আসক্ত হলে খুব সহজেই তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করতে তাদের কোন বাধা নেই।

৭। গ্রামের দিকে খোঁজ নিয়ে দেখেন, যে সকল মেয়ে অহিন্দু হয়েছে, যৌবনের জৌলুস কমার সাথে সাথে তালাক হয়ে গেছে, ফলে ভিক্ষা করতে হয়। গ্রামের যথেষ্ট ভিক্ষুকের মধ্যে অনেক গুলিই কনভাট হওয়া হিন্দু মেয়ে পাওয়া যাবে।

৮। স্বামীর ঘরে পরিত্যক্ত হয়ে বেশির ভাগ ধর্মান্তরিত হিন্দু মেয়েদের স্থান হয়েছে, পতিতালয়ে। তারা এখন অবৈধ ব্যবসা করে জীবন পরিচালনা করে।

৯। এ বিষয়ে সমাজে হাজারাে উদাহরণ রয়েছে , যা লিখতে গেলে বড় বড় বই হয়ে যাবে।

আমি এখানে কিছু ছােট ছােট ঘটনা তােলে ধরার চেষ্টা করছিঃ

১। সে দিন পত্রিকায় পড়েছি, যশাের থেকে ঢাকায় একটি হিন্দু মেয়ে পড়তে আসে। এসে এক অহিন্দু ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ছেলেটি ভুল ঠিকানা দিয়ে হিন্দু মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করে। একমাস পরে মেয়েটির বাবা-মা জানতে পারে এবং মেয়েটির সাথে বাবা-মার সম্পর্ক ত্যাজ্য হয়ে যায় । অহিন্দু ছেলেটি ছয়মাস পরে পালিয়েছে। এখন মেয়েটি স্বামীকেও খুঁজে পাচ্ছে না, বাবা-মার কাছেও যেতে পারছে না; এখন মেয়েটির পরিণতি কি হবে ?

২। টাংগাইলের এক হিন্দু মেয়ে বহুদিন ধরে অহিন্দু এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাবা-মা বুঝতে পেরে এক হিন্দু ছেলের সাথে মেয়েটিকে বিবাহ। দিয়ে দেয়। বহুদিন হিন্দু স্বামীর সংসার করে এবং সন্তানও আছে। হঠাৎ কোন ক্রমে সেই পুরাতন অহিন্দু প্রেমিকের সাথে সাক্ষাৎ হয়ে যায় এবং আবার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। ছেলেটি এবার সুযােগ গ্রহণ করে, হিন্দু বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করে । 'অহিন্দু স্বামীটি কিছুদিন পর থেকে হিন্দু মেয়েটিকে দিয়ে দৈহিক ব্যবসা শুরু করে। মেয়েটি অহিন্দ স্বামীর চরিত্র সম্পর্কে বুঝতে পারে। মেয়েটি কোনক্রমে সেই নরক কুন্ড থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু কোথায় যাবে?

৩। নদীয়ায় এক হিন্দু মেয়ের অহিন্দু সহ-পাঠির সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক হয়। কবে যে তাদের মধ্যে প্রেম হয়ে যায় এবং অনেক দূর এগিয়ে যায়, তা তারা। নিজেরাও বুঝতে পারে না। মেয়েটি ভাল পরিবারের ছিল এবং নিরামিষ ভােজী ছিল। বাবা-মা ভাইয়েরা যখন এ বিষয়ে জানতে পারল, তখন মেয়েটিকে অনেক ফেরানাের চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। একদিন পালিয়ে তারা বিয়ে করে ফেলল। কয়েক বছর সংসার করল, তারপর একদিন তার স্বামী মারা গেল। তখন শ্বশুড় বাড়ির সবাই তাকে বের করে দিল। এখন জানেন সে কোথায় থাকে? কলকাতার পতিতালয়ে। এই ছােট জীবনে, এই রকম আরাে কয়েকশত ঘটনা জানি। কিন্তু আর লেখব না, কারণ মনটা দুঃখে ভরে যাচ্ছে। প্রতিটি হিন্দু মেয়ের উপরের ঘটনা গুলােকে অনুধাবন করা উচিত। যে সব 'হিন্দু মেয়েরা এ সব জেনেও ভুল পথে পা দিবে, পৃথিবীতে তাদের থেকে আরাে মহামূর্খ আছে কিনা আমাদের জানা নেই।

১০। সবচেয়ে বড় সত্য হলাে অহিন্দু পরিবারে ধর্মান্তরিত হিন্দু স্ত্রীগণ কেউই প্রকৃত পক্ষে সুখে নেই।

ধর্মান্তরিত হয়ে যায়ার সমাধান

ধর্মীয় দিক থেকে পরিণামঃ

১। কেউ যদি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে অর্থাৎ সে বেদ-গীতাকে অস্বীকার করল । মনুসংহিতায় বলা হয়েছে যে বেদকে অস্বীকার করে সে নাস্তিক। আর নাস্তিকরা নিশ্চিত নরকগামী হবে।

২। হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করল মানে সে কৃষ্ণের উপাসনা থেকে দূরে চলে গেল। কৃষ্ণভক্ত না হলে কোনদিন মুক্তি লাভ করা যায় না অর্থাৎ তার মুক্তির পথ সুদর। প্রসারি হয়ে গেল !

৩।যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মানে না, ভগবান তাদের অসুর বা নাস্তিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। আর অসুরদের ভগবান নিজের হাতে মারেন অথবা কষ্ট দিতে দিতে পারেন ।

৪। সর্বপরি ধর্ম ত্যাগের ফলে বাবা-মার কাছ থেকে চলে যাওয়ার মাধ্যমে; বাবা-মাকে প্রচন্ড কষ্ট দেওয়া হয়। বাবা-মার কষ্টের দাম ধর্মত্যাগি হিন্দু-ছেলে মেয়েদের বেঁচে থাকাই নরক কুন্ডের মত হয়ে যায়।

ধর্মান্তরিত হয়ে যায়ার সমাধানঃ

১। প্রত্যেক পিতা-মাতার কর্তব্য তাদের সন্তানকে ছােট থেকে কৃষ্ণভক্তে পরিনত করা। বাবা-মা নিজেরাও ভক্ত হবে। নিয়মিত পরিবারের সবাইকে নিয়ে গীতা অধ্যায়ন করবে। সবাই সবাইকে বুঝিয়ে দিবে সনাতন ধর্ম পালন করা আমাদের কতটা জরুরী।

২। সনাতন ধর্ম সম্পর্কে একটা ভাল জ্ঞান সবার থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে প্রচার করতে হবে আমাদের ধর্মীয় ঐতিয্য।

৩। ধর্মান্তকরণ সম্পর্কে অবিবাহিত হিন্দু যুবক যুবতী ও নারী পুরুষের সর্তক হওয়া উচিত এবং পরিবারের সকল শিশু কিশাের কিশােরী সদস্যদের এই বিষয়ে সর্তক করা উচিত।

৪। হিন্দু বােনদের এই বিষয়ে বেশি করে সর্তক হতে হবে। যদি কেউ ভুল পথে পা দিয়ে থাকেন, তাহলে এখনি সর্তক হয়ে যান। মােহবশত ভাবতেছেন ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না, কিন্তু সময়ের গতিতে সব কিছুই একদিন শেষ হয়ে। যায়। আমরা ছােট বেলায় দুই টাকার জন্য বাবার কাছে কান্না-কাটি করতাম। কিন্তু এখন বুঝি দুই টাকার মূল্য আসলে খুবই কম। তেমনি একটা বয়সে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে একে অপরকে পেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই মােহ যখন কেটে যায় তখন বুঝতে পারে আমি যা করেছি তা সবই ভুল । আমরা যদি কৃষ্ণকে সব সময় ভালবাসি, জপমালায় সবসময় হরে ''কৃষ্ণ মহামন্ত্র'' জপ করি বা কীৰ্ত্তন করি, তাহলে কখনােই আমার মন কুপথে ধাবিত হবে না।

৫। বৃদ্ধ বয়সে সবাই এসে দেখবেন হরিনাম করে, কারণ তখন তারা বুঝতে পারে আমার আর সময় নেই। আসলেই সময় তাদের শেষের দিকে চলে গেছে। কিন্তু আমাদের এখন সময় আছে, তাই আমাদের বৃথা সময় নষ্ট না করে কৃষ্ণভজনে মনােযােগ দেওয়া উচিত।

৬। হিন্দু বােনেরা চিন্তা করেন, আপনের অন্যান্য বােন মা, মাসি কাকী তাদের সাংসারিক জীবন। কতই না নিরাপত তারা, হয়তােবা গরীব থাকতে। পারে কিন্তু কোন স্বামী তাকে ত্যাগ করে না। বিয়ের পরও বাবা-মায়ের সাথে ভালাে সম্পর্ক থাকে। বিপদে আপদে সবাই এগিয়ে আসে। কিন্তু ধর্মত্যাগ করে চলে গেলে মাথায় ঝাটার বাড়ি পড়ে।

৭। যারা ভুল করে ফেলেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে অনুরােধ সনাতন ধর্ম গ্রহণ করে শুদ্ধি হয়ে যায়। বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন এমন কি সমাজকেও এ বিষয়ে সাহায্য করা উচিত। বিভিন্ন মন্দিরে কৃষ্ণ ভক্ত হওয়ার মাধ্যমে বা বেদের অনুসারী হওয়ার মাধ্যমে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করা যায়।

বি: দ্র: পরিশেষে বলতে হয় সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই-বােনেরা আপনেরা এই বিষয়গুলাে সকলের মধ্যে প্রচার করে দেন। আমাদের সাইটের লিং আপনাদের বন্ধুদের সেয়ার করতে ভুলবেন না । যাতে কেউ আর এই ভুল পথে পা না বাড়ায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন