প্রশ্নঃ গীতা অধ্যয়ন করে জানতে পারলাম আমি আমার দেহ নই। আমি আত্মা।
আত্মার দেহান্তর হয়। তাহলে আমরা পারলৌকিক ক্রিয়া কেন করি, কার জন্য করি?
উত্তরঃ পরলোকগত জীবাত্মার মঙ্গল সাধনের উদ্দেশ্যে পারলৌকিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান করা হয়। কর্মদোষে যে ব্যক্তি পরজন্মে দুর্গতি দুর্দশা ভোগ করতে থাকে সেই ব্যক্তির বংশধর তার মঙ্গল বিধানের জন্য শ্রাদ্ধ ইত্যাদি অনুষ্ঠান করেন, যাতে পরলোক গত জীবাত্মার সদ্গতি হয়। যে ব্যক্তির বংশধর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে না তাদের পরলোকগত ব্যক্তির শান্তি লাভ হয় না। কর্ম বিপাকে পরলোকে সেই ব্যক্তি অগত্যা দুঃখ-দুর্দশা ভোগ করতে থাকে।
ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে বলা হয়েছে-
যঃ শ্রাদ্ধকালে হরিভুক্তশেষং
দদাতি ভক্ত্যা পিতৃদেবতানাম।
তেনৈব পিণ্ডাংস্তুলসীবিমিশ্রাণা-
কল্পকোটিং পিতর সুতৃপ্তাঃ॥
“শ্রাদ্ধদিনে ভক্তিসহকারে ভগবানের মহাপ্রসাদ এবং তলসী মিশ্রিত পিণ্ড পিতৃ বা দেবগণ অর্পণ করলে পিতৃগণ কোটিকল্প পর্যন্ত সম্পূর্ণ তৃপ্তিলাভ করেন।”
আরোও জানুনঃ
চোখের ছানি হলে করনীয়: এখানে ক্লিক করুন
মস্তিষ্ক ঠিক ঠান্ডা রাখার উপায়ঃ এখানে ক্লিক করুন
পিঠ ব্যথা-কারণ সমূহ ও ঘরোয়া চিকিৎসা: এখানে ক্লিক করুন
পরলোকগত ব্যক্তির পরজীবনে যাতে সদগতি হয়, মঙ্গল হয় সেই উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করা হয়। আর তার শ্রাদ্ধ করলে ইহ লোকের বংশধর পবিত্র হয়। রামায়ণে ৭৬ সর্গে বলা হয়েছে, “ব্রাহ্মণেরা উপস্থিত হয়ে রাজা দশরথকে চিতা মধ্যে স্থাপন করে জলন্ত আগুনে আহুতি দিয়ে তাঁর পারলৌকিক শুদ্ধির উদ্দেশ্যে মন্ত্র জপ করতে লাগলেন। দশাহ অতীত হলে ভরত শ্রাদ্ধ করে পবিত্র হলেন এবং দ্বাদশাহে দ্বিতীয় মাসিক প্রভৃতি সপিণ্ডীকরণ প্রর্যন্ত সমস্ত অনুষ্ঠান করে পিতার পারলৌকিক ফল আকাঙক্ষায় ব্রাহ্মণদেরকে ধনরত্ন, ভোজ্য, গো, বসন দান করলেন।
বৃন্দাবন মে কুঞ্জ গালিনা মে - জনপ্রিয় ভজন
ভগবান শ্রীরামচন্দ্র যখন বনবাসী হয়ে চিত্রকূটে ছিলেন তখন পিতার পরলোক গমনের সংবাদ শুনলেন। তখন শ্রীরামচন্দ্র পিতৃদেবের মঙ্গল বিধানের উদ্দেশ্যে দক্ষিণমুখ হয়ে মান্দাকিনী ন্দীতে নেমে অঞ্জলিতে জল নিয়ে অশ্রুপূর্ণ নয়নে বলেছিলেন, “হে পিতা ! আপনি পিতৃলোকে গিয়েছেন। এখন আমার দেওয়া এই নির্মল জল আপনাকে তৃপ্ত করুক।” অর্থাৎ, পরলোকগত পিতৃদেবের উদ্দেশ্যে কেউ যদি ইহলোক থেকে কিছু অর্পণ করে তাতে পিতৃদেবের তৃপ্তি হয়। সেইজন্য ‘শ্রাদ্ধশান্তি' কথাটি বেশি প্রচলিত।
আরোও পড়ুনঃ
ব্রত ও তিথিঃ কি এখানে ক্লিক করুন
সদগুরুর লক্ষণ ও যোগ্যতা এখানে ক্লিক করুন
শিষ্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য এখানে ক্লিক করুন
শ্রাদ্ধ করলে পরলোকে জীবাত্মার শাস্তি হয়। তারপর শ্রীরামচন্দ্র
ভাইদের সঙ্গে নদীতীরে উঠে এসে কুশঘাসের আসন পাতিয়ে বনের ফল বদরী ও ইঙ্গুদি কুলের পিণ্ড রেখে দুঃখিত মনে রোদন করতে করতে বললেন, “পিতা! আপনি প্রীত হয়ে
এই পিণ্ড ভোজন করুন। আমরা এখন বনবাসী হয়ে
এই বস্তুই ভোজন করি।” এই কথা রামায়ণে ১০৩
সর্গে বলা হয়েছে।
শ্রীহরিভক্তিবিলাসে বলা হয়েছে- শ্রাদ্ধদিনে শ্রীহরির মহাপ্রসাদ অর্পণ করে অনুষ্ঠান করবেন। শ্রীহরির উচ্ছিষ্ট অন্ন অর্পণ করলে পিতৃগণ কোটি কল্প যাবৎ তৃপ্তি লাভ করেন।
স্কন্দপুরাণের পুরুষোত্তম খণ্ডে বলা হয়েছে- যে সকল ব্যক্তি পিতৃগণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন
ভক্তি সহকারে শ্রীহরির অর্চনা করেন, তাঁদের পক্ষে গয়া শ্রাদ্ধ প্রভৃতি বহু বহু পিণ্ড
দান করারও প্রয়োজন নেই।
ব্ৰহ্মপুরাণে বলা হয়েছে- যে ব্যক্তির গৃহে
বৈষ্ণব ভোজন করেন, শ্রীহরি স্বয়ং এবং পিতৃগণেরও সেই গৃহে
অন্নসেবন হয়ে যায়।
অতএব,
জীবাত্মা কর্মফলে যে
দেহ লাভ করুক না কেন,
এমন কি নরক যাতনা ভোগ করুক না কেন তার সদগতির
উদ্দেশ্যেই পারলৌকিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান কর্তব্য।
পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে-
যো ন দদ্যাদ হরের্ভুক্তং
পিতৃণাং শ্রাদ্ধকর্মাণি।
অশ্নতি পিতরস্তস্য বিন্মূত্রং সততং দ্বিজাঃ॥
অর্থাৎ, হে দ্বিজগণ, যে ব্যক্তি পিতৃপুরুষের
শ্রাদ্ধকার্যে শ্রীহরির উচ্ছিষ্ট প্রদান করে না, তার পিতৃ পুরুষেরা সর্বদা বিষ্ঠা
ও মূত্র ভক্ষণ করে থাকে।”
কিন্তু বর্ত্মান সমাজের মানুষ শ্রাদ্ধকর্মে শ্রীহরির মহাপ্রসাদ
নিবেদন করা তো দূরের কথা, মাছ-মাংসাদি সহ অপবিত্র অন্ন শ্রাদ্ধ-অনুষ্ঠানে নিবেদন করে থাকে। এতে পিতৃপুরুষের এবং বংশধরদের অমঙ্গলই
সাধিত হয়।
প্রশ্নঃ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা
হয় কেন?
উত্তরঃ “একটি দেহ ত্যাগ করার পর
অন্য একটি দেহ লাভ হয়,
কিন্তু কখনও কখনও কেউ
যদি অত্যন্ত পাপী হয়,
তা হলে সে অন্য আর একটি
দেহে দেহান্তরিত হয় না-
সে প্রেতযোনি প্রাপ্ত হয়। মৃত
ব্যক্তিকে প্রেত যোনি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য শস্ত্রের বিধান অনুসারে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান
করা অবশ্য কর্তব্য।”
(ভাঃ ৯/০/২৯ ভক্তিবেদান্ত
তাৎপর্য)।
প্রশ্ন কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যে প্রেত-অন্ন দেওয়া হয় তা কি সেই বিদেহী আত্মা গ্রহণ করে?
উত্তর:
আমাদের সমাজে যে ভাবে মানুষ ‘প্রেত-অন্ন’
দেয়, ওটা অত্যন্ত বিপজ্জনক
বললেই চলে। বিদেহী আত্মার শান্তি লাভ বা মঙ্গলের জন্য শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয়। শ্রীহরির মহাপ্রসাদ নিয়ে গঙ্গায় অথবা নিজের গ্রামের
পুকুরে কিংবা জলা জায়গায় গঙ্গাকে আগে নিবেদন করা হয়, তারপর বিদেহী আত্মার উদ্দেশ্যে
নিবেদন করতে হয়। তাতে বিদেহী আত্মার অবশ্যই মঙ্গল সাধিত হয়। কিন্তু লোকে শ্রাদ্ধের দিন
নানাবিধ মাছমাংসাদি অগ্ৰসাদ সাজিয়ে জঙ্গলে বিদেহী আত্মার উদ্দেশ্যে নিবেদন করে তাতে বিদেহী
আত্মার মঙ্গল তো দূরের কথা, বরং মলমূত্র ভোগ করবার জন্য তার
নরকগতি হয়। তাই বিগত,
বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
বংশধরদের মঙ্গলের জন্য সনিষ্ঠ হরিভজনের একান্ত প্রয়োজন রয়েছে।
প্রশ্নঃ বাড়িতে আত্মীয়দের মধ্যে কেউ মারা গেলে কমপক্ষে তেরোদিন শ্রীবিগ্রহের পূজা
বন্ধ করে রাখতে হবে। কেন?
উত্তর
: বৈষ্ণবীয় মতে কেউ গৃহস্থ হোক কিংবা গৃহত্যাগী হোক, তার অশৌচ বা শোক নেই। নিত্য শ্রীহরির
সেবা-পূজা করলেই পিতৃশ্রাদ্ধ ও তর্পণাদি সমাধা হয়ে যায়, আলাদা শ্রাদ্ধ তর্পণ
করতে হয় না। তবে লোক ব্যবহারের জন্য গৃহস্থ বৈষ্ণবেরা হরিনাম গ্রহণের জন্য নিত্য শুচি হয়ে যে
কোনও দিন শ্রাদ্ধ করতে পারেন। হরিনামাশ্রিত ভ্ক্তরা প্রতিদিন শ্রীকৃষ্ণের
মহা প্রসাদ গ্রহণ করবেন। স্মার্তদের মতো তাদের শোকচিহ্ন ধারণ বা কাচা
হবিষ্যান্ন ভক্ষণ করতে হবে না। গৃহে প্রতিষ্ঠিত শ্রীভগবৎ বিগ্রহের নিত্য পূজা
বিধেয়। যেইদিন কোনও অজুহাতে পূজা বন্ধ থাকে, সেইদিনই অশুভ ও অশুচি বলে পরিগণিত হয়।
প্রশ্নঃ বাড়িতে কারো বা আত্মীয় সজনের মুত্য কারণে অশৌচ হলে জপমালাতে জপ করা যাবে কি ? গৃহদেবতার ভোগ-আরতি সেবা কিভাবে চলবে? ঐ সময়ে কি করা হবে?
উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত বৈষ্ণবের অশৌচ অবস্থা বিচার্য নয়। জপমালায় অবশ্যই রোজ হরিনাম করতেই হবে। কৃষ্ণভক্তগণ জানেন যে, সংসারটি শ্রীকৃষ্ণের। শ্রীকৃষ্ণ গৃহে অধিষ্ঠিত আছেন। শ্রীকৃষ্ণকে আপনি কখনও বলতে পারেন না যে, হে গোপাল, আমার দাদু মারা গেছে বা অন্য কেউ মারা গেছে অতএব আজ থেকে কিছুদিনের জন্য তুমি নিরম্বু অনাহারে থাকো, এবং তোমার সেবা বন্ধ থাক। কোনও গৃহস্থ তার কোনও পুত্র বা স্বামী বা অন্য কাউকেও এরূপ বলতে পারবে না।
কেউ
মারা গেলে মৃতদেহের সৎকার করে ফেলতে হবে। প্রতিদিনের মতো পূজা করে চলতেও হবে।
যারা কর্মকাণ্ডীয় তারা নানাবিধ তামসিক শাস্ত্রবিধির ছলছুতো দেখাতেই পারে। কিন্তু
কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত বৈষ্ণবগণ সেই ছলছুতোর অধীনে
আসেন না। মহাপ্রভুর গণ
শ্রীল গোবিন্দ ঘোষ ঠাকরের পত্নী মারা গেল, তারপর শিশুপুত্রও মারা গেল। সেই শোকে তিনি তার গৃহে অধিষ্ঠিত
গোপীনাথের সেবাপূজাও বন্ধ
করে দিচ্ছিলেন। কিন্তু গোপীনাথ তাকে বলেন, তোমার একটি পুত্র মারা গেল, আর
সেই জন্য অন্য
এক জীবন্ত পুত্রকেও না খাইয়ে মেরে ফেলতে চাও কি?
তবে কেন তুমি আমাকে দেখছ না? সেই রাধাগোপীনাথ বিগ্রহ বর্ধমানের অগ্রদ্বীপে এখনও বিদ্যমান।
আরোও জানুনঃ
হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়ঃ এখানে ক্লিক করুন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসাঃ এখানে ক্লিক করুন
শিশু ও নবজাতকদের মধ্যে 10 রোগঃ এখানে ক্লিক করুন
প্রশ্নঃ জীবনে যে ব্যক্তি
তুলসীকাষ্ঠের মালা ব্যবহার করতে চায়নি, তুলসীর পূজার্চনা করেনি, তার মৃত্যুর পর প্রথাগত ভিত্তিতে একটি জীবন্ত তুলসী বৃক্ষ উপড়ে
এনে শ্মশানে চিতার সঙ্গে দাহ করা হয়। এতে কিসের মঙ্গল হয়?
উত্তরঃ এতে কোন মঙ্গল হয় ন। আমিষভোজী, নেশাসেবী, ভজনহীন মানুষদের গলায় পবিত্রতুলসী কাষ্ঠের থামলেও তার মাহাত্ম্য কার্যকরী হয় না। ঠিক যেমন ওষুধ সেবন এবং তার সঙ্গে ওষুধের প্রতিকুল বস্তুর সেবন করা হলে রোগের প্রতিকার হয় না। চিতার মধ্যে অপ্রকটিত বা শুষ্ক তুলসী কাষ্ঠ দেওয়ার কথা শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রকটিত বা জীবন্ত তুলসীবৃক্ষ উপড়ে নিয়ে চিতায় দাহ করা কখনও বিধেয় নয়।
প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি জীবনে কোনও ভাল কর্ম করেনি বা ভগবানের নাম নেয় নি, তার মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধ
উপলক্ষ্যে গীতাপাঠ বা কীর্তন করা হলে সে কি পাপমুক্ত হবে?
উত্তরঃ এই মনুষ্য দেহ ত্যাগকারী আত্মার শান্তিবিধানের উদ্দেশ্যেই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান
করা হয়। বাস্তবিকই
আমাদের জানতে হবে যে,
ভগবদ্ভক্তের মুখে
হরিনাম কীর্তন,হরিকথা শ্রবণ হচ্ছে
অত্যন্ত মঙ্গলকর অনুষ্ঠান। শ্রবণ কীর্তনাদি পবিত্র মঙ্গল অনুষ্ঠান না
করলেও এই পৃথিবীতে যত প্রকার
ধর্ম-অনুষ্ঠান আছে-
সবই বৃথা বলে জানতে
হবে। মহাজন শ্রীভীষ্মদেব বলেছেন- “হরিকথা শ্রবণ ও হরিলীলা
কীর্তন সমগ্র বেদের সারাতিসার। তাই ভগবদ কথা, গীতা-ভাগবত পাঠ বা কীর্তন করা হলে মঙ্গল ছাড়া
অমঙ্গলের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
যে ব্যক্তি মারা গেল,
সে নিজে যদিও জীবনে কোন
ভালো কর্ম করেনি, তবুও তার শাস্তির
উদ্দেশ্যে মঙ্গল অনুষ্ঠান করাই তার বংশধরদের কর্তব্য।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য এই যে,
যারা শ্রদ্ধবাসরে মাছ, কচ্ছপ, সাপ, ছাগল
কিংবা ভেড়াকে বধ করে হাড়-মাংসের ঝোল খাচ্ছে এবং
প্রেতাত্মাকে নিবেদন করছে, তাদের
অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তাতে অমঙ্গল
ছাড়া কোনও মঙ্গল নেই।
প্রশ্নঃ বৈষ্ণবেরা ভূত-প্রেত-পিশাচের শ্রাদ্ধ করেন না’—এ কথার তাৎপর্য কি?
উত্তরঃ বৈষ্ণবেরা পিতৃপুরুষদের জন্য যে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করেন, তাঁরা শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের দিন শ্রীহরির মহাপ্রসাদ পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন। মহাপ্রসাদ নির্মাল্য দ্বারা পিতৃপুরুষদের আত্মার পরিতৃপ্তি সাধিত হয়।
অবৈষ্ণব
বা অভক্তরা ভূত-প্রেত-পিশাচদের উপভোগ্য আমিষ দ্রব্য তাদের পুরুষদের উদ্দেশ্যে নিবেদন
করে থাকে। সেক্ষেত্রে পিতৃদের ভূত-প্রেত রূপে জ্ঞান করা হয়, যার জন্য বনজঙ্গলের
মধ্যে রাত্রিবেলায় মাছ-মাংসাদি অপবিত্র বস্তু সাজিয়ে রেখে পালিয়ে আসা হয়।
শাস্ত্রে
বলা হয়েছে-
যো ন দদ্যাদ হরের্ভুক্তং
পিতৃনাং শ্রাদ্ধকর্মানি।
অশ্নন্তি পিতরস্তস্য বিণ্মূত্রং সততং দ্বিজাঃ।।
শ্রীমদ্ভাগবতেও (৭/১৫/৭) বলা হয়েছেন- ন দদ্যাদ আমিষং শ্রাদ্ধে, “শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে কখনও মাছ-মাংসাদি নিবেদন
করবেন না।”
বৈষ্ণবেরা নিত্যকৃষ্ণদাস জ্ঞানে জীবাত্মার মঙ্গলের উদ্দেশ্যে গঙ্গাতে মহাপ্রসাদ পিণ্ড নিবেদন পূর্বক শ্রাদ্ধ করেন। নরক প্রাপক অমেধ্য মাছ-মাংসাদি দিয়ে প্রেতাশ্রাদ্ধ করেন না।
এখানেই আজকের আলোচনা শেষ করছি। এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার
যদি কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে বা কোন বিষয়ে জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানাতে দ্বিধাবোধ
করবেন না।
উপরিক্ত আলোচনা আপনার কাছে ভালো
লাগলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে (ফেসবুক,
টিউটার, হোয়াটেপ্স ইত্যাদি) সেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিবেন।
আরোও জানুনঃ
পা ও গোড়ালি ফুলার কারণ
এবং প্রতিকারঃ এখানে ক্লিক
করুন
হাঁপানি থেকে
মুক্তির উপায়: এখানে ক্লিক করুন
উচ্চ রক্ত
চাপের প্রকারভেদ: এখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন