কলিযুগের ধর্ম কাহিনী ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান

কলিযুগ

কলিযুগ হচ্ছে কলহের যুগ, কলুষতারযুগ। এ যুগের জীব সকল কলনিয়ে ব্যস্ত থাকে আর তাদের মন কলুষতায় ভরপুর। এযুগে ঠক, ধান্ধাবাজ, স্বার্থপরতার অভাব নেই। কে কাকে ঠকিয়ে বড় হতে পারে এ চেষ্টায় সবাই ব্যস্ত। ধর্মের চারটি পা রয়েছে, তপস্যা, শৌচ, দয়া ও সত্য। প্রতিযুগে ধর্মের ১টি করে পা ভেঙ্গে যায়। সত্যযুগে চারটি, ত্রেতা যুগে তিনটি, দ্বাপরযুগে দুটি এবং কলিযুগে ধর্ম একটি স্তম্ভের উপর কোনভাবে দাড়ইিয়া আছে। সত্যরূপ যেই পা টি অবশিষ্ট আছে অধর্মরূপ কলি সেইটি ধ্বংস করিবার জন্য আবাত করিতেছে
ভাগবতে (১/১/১০) বলা হয়েছে, হে মহাজ্ঞানী, এই কলিযুগের মানুষেরা প্রায় সকলেই অল্পাইয়ু তাহারা কলহপ্রিয়, অলস, মন্দগতি, ভাগ্যহীন এবং সর্বোপরি তাহারা নিরন্তর রোগাদির দ্বারা উপদ্রুত।এই যুগে মানুষদের পরমায়ু দেওয়া হয়েছে ১০০ বছর কিন্তু তারা দেহের উপর এতই অত্যাচার করে (যেমন : আমিষ আহার, নেশা, অবৈধ সঙ্গ) ফলে, সাধারণত ৬০-৭০ বছর এর বেশি আর বাঁচে না। কলিযুগের বয়স চার লক্ষ বত্রিশ হাজার বছর, বর্তমানে ৫০০০ বছর অতিক্রম করেছে বাকী ৪২৭০০০ বছর রয়েছে আজ থেকে ৫০০ বছর আগে চৈতন্য মহাপ্রভু এসেছিলেন, তিনি বলেছেন, এখন থেকে দশ হাজার বছর পরে ঘোরকলি শুরু হয়ে যাবে অর্থাৎ তখন আর ধর্ম থাকবে না। পাঁচশত বছর চলে গেছে অর্থাৎ এখন থেকে ১৫০০ বছর পরে পৃথিবীতে আর কোন ধর্ম থাকবে না এ সম্পর্কে শাস্ত্রে বলা হয়েছে, কলির প্রভাবে কেউ আর হরিনাম নিবে না। বেদব্ৰত সমস্তই লুপ্ত হবে, মিথ্যার প্রভাবে সকলে কামাচারী হবে। বিবাহের ব্যতিক্রম হবে, নারী পুরুষের মাঝে কোন ভেদ থাকিবে না। সব আচার বিচার বিলুপ্ত হবে, রমনীর আজ্ঞায় সকল পুরুষ চলিবে।

নরহত্যাকারী আর প্রবঞ্চক চোরে সাধুরে নিন্দা করিবে । নারীরা অষ্টমবর্ষে যুবতী হবে, বিশ বছরে জরাজীর্ণ হবে কলিতে মাতা, পত্নী, পুত্রবধূ, ভগনী সকলেই ঘোর ব্যভিচার করিবে। ব্যভিচার করে যে ধন উপার্জন হবে তা দিযে পুরুষ জীবন ধারণ করবে । ভগিনী বিমাতা কোন বিচার না করে সকল লোক নিত্য ব্যভিচার করিবে। একমাত্র নিজমাতা পরিহার করে পরপত্নি সহ বিহার করিবে । কার পতি, কার পত্নী কোন ঠিক থাকবে না। চারিদিকে শুধু পাপ বিরাজ করবে। বৃক্ষগুলো সব হবে এক হাতের সমান , মানুষ হবে এক আঙ্গুলের সমান। সেই সময় দেব নারায়ণ কল্কিমূৰ্ত্তি ধরে আবির্ভূত হবেন । বিশাল ঘোটকে কল্কি আরোহণ করে ভুবন থেকে তিন রাত্রে ম্লেচ্ছশূণ্য করিবে। বাসের অযোগ্য হবে এই ধরাতল । সূর্যের তেজের প্রভাবে ধরনীৱ সকল জল শুষ্ক হয়ে যাবে। ভীষণ সেই কলিকাল অতীত হলে এই ধরায় ধর্মে আবার পরিপূর্ণ হবে। সত্যযুগ ধরণীতে আসিবে আবার, পৃথিবীতে তখন ধর্মের প্রচার। হবে। কলির প্রভাবে সব সদাচার লুপ্ত ছিল সত্যযুগে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে। সর্বলোকের মাঝে বেদ-স্মৃতি কৃষ্ণনাম আবার প্রচলিত হবে।

যারা ঘোর কলিকালে জন্মগ্রহণ করবে তারা কত দূর্ভাগা, তাদের মুক্তির পথ সুদূর প্রসারী। তাই এই জনেই আমাদের মুক্তিলাভের জন্য চেষ্টা করতে হবে। আমরা এখনো মা-বোনদের শ্রদ্ধা করি, কারণ ধর্ম আমাদের শিখিয়েছে মা-বোনদের শ্রদ্ধা করতে হয়কিন্তু যখন ধর্ম থাকবে না তখন মা-বাবা ভাইবোন এদের মধ্যে কোন সম্পর্ক থাকবে না, ফলে সবাই ব্যভিচার করবে। সেদিন আসতেছে যার নমুনা এখনি শুরু হয়ে গেছে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, কলির প্রভাবে কলিকালে কপট ধর্মের সৃষ্টি হবে। সেখানে সৃষ্টিকর্তা কে সেটাই তারা জানবে না। আমরা দেখতে পাই কলিকালে বা গত পাঁচ হাজার বছরে প্রায় ছোট বড় ৪৩ হাজার ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে কৃষ্ণকে উপাসনা বাদ দিয়ে, শিখানো হয় নিরাকার উপাসনা, দেবদেবীর উপাসনা, যোগী মহাপুরুষ, বাবাঠাকুর বা কোন মানুষকেই ভগবান বানিয়ে তার পূজা করে আর বলে আমারটাই সর্বশ্রেষ্ঠ। সমস্যা গুরুবাদ ও বর্ণবা, গুরুবাদে গুরুই ভগবান, শ্রীকৃষ্ণকে বাদ দিয়ে শুধু গুরুর পূজা করে বা আমার গুরুই কৃষ্ণ একথা বলে সাধারন জনগণকে বিভ্রান্ত করে, প্রলোভন দেখায়, ভয় দেখায়। এভাবে হাজারো গুরুর শিস্যরা গুরুকে ভগবান বানিয়ে প্রত্যেকই প্রচার করছে আমার গুরুই একমাত্র ভগবান অন্য সব ভুল। এভাবে সমাজে অভক্ত বা কৃষ্ণবিদ্বেষী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা কখনোই বলে না, গুরুর মাধ্যমে গবিন্দ ভজ, গুরু সবাইকে কৃষ্ণভক্ত হতে বলেছেন; সবাইকে হরে কৃষ্ণ জপ করতে বলেছেন। তারা গীতাও পড়তে বলে না, শাস্ত্রের নির্দেশও মানে না, যেখানে বলা হছে, গুরু ভগবান নয়, গুরু হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতিনিধি কিন্তু গুরুকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মত সম্মান করতে হবে এবং গুরুর চরণে আত্মসমর্পণ করে কৃষ্ণ ভজনা করতে হবে। আর যে গুরু কৃষ্ণভক্ত হতে বলে না, সে গুরু নয় শয়তান।

আরোও পড়ুনঃ
পাপ পরিত্রাণ : স্বর্গ - নরক ক্লিক করুন
ভগবান ও ঈশ্বরের পার্থক্য ক্লিক করুন
গোত্র কী ক্লিক করুন

অপর দিকে বর্ণবাদ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র শুধুমাত্র কাজের পরিপ্রেক্ষিতে ভাগ করা হয়েছে অন্য কোন কিছু নয় কিন্তু এখন দেখা যায় আমি ব্রাহ্মণ আমি ক্ষত্রিয় এই অহংকারে ফেটে পড়ে। ও ছোট জাত ও নিম্নজাত ওকে ছোঁয়া যাবে না, জাত যাবে। এরই ফল প্রসূতে ২০০৭ সালে ভারতে ৫০০০০ হিন্দু বুদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছে, কারণতারা নিম্নজাত বলে বাহ্মণেরা মন্দিরে ঢুকতে দেয়নি। গত বারশত বছরে লক্ষ লক্ষ হিন্দু যারা নিম্নবর্ণ হিসেবে পরিচিত তারা অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছে সনাতন ধর্মের জ্ঞানের অভাবে, ব্রাহ্মণদের অত্যাচারে । চৈতন্য মহাপ্রভু এসে শিখিয়েছেন, কে কোন বর্ণের তা দেখার বিষয় নয়, সে কৃষ্ণভক্ত কিনা এটাই দেখার বিষয়। মুচি যদি কৃষ্ণ ভক্ত হয় তবে সে ব্রাহ্মণের থেকেও শ্রেষ্ঠ আর ব্রাহ্মণ যদি কৃষ্ণভক্ত না হয় তবে সে মুচির থেকেও অধম।

বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী, তথাকথিত হিন্দুরা  ধর্ম সম্পর্কে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে তাই তারা ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারে না, অবশ্য প্রকৃতপক্ষে সনাতন ধর্মের কখনো ত্যাগ হয়। কিন্তু হিন্দু মেয়েরা পারমার্থিক জ্ঞান থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে, ফলে| তারা সহজেই বিপথ গামী হয়ে যায়। বর্তমানে দেখা যায় অন্য ধর্মের ছেলেরা হিন্দু মেয়ের পিছু লেগেই থাকে, ফলে এক সময় প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। পরিণামে ঐ মেয়ে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, ধর্ম সকল কিছু ত্যাগ করে ছেলেরসাথে চলে যায়। বয়সের দোষে, নির্বুদ্ধিতার কারনে, পারমার্থিক জ্ঞানের অভাবে, মোহ বশত এই রকম অপকর্ম করে চলছে। পরিণামে মেয়েটির কপালে জোটে বাবা-মার অভিশাপ, যা সারা জীবন মেয়েটিকে বহন করতে হয় এবং বেদধর্ম ত্যাগ করার কারণে অনন্তকাল নরক বাস করতে হয়। আজ এই ভুলের স্বীকার হচ্ছে শিক্ষিত মেয়েরাই, কারণ লেখাপড়া করার জন্য তাদের বাড়ির বাহির হতে হয় এবং বিভিন্ন ছেলেদের সাথে মেলামেশা করতে হয় । এক জরিপে দেখা গিয়েছে, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি পঞ্চাশজন হিন্দু মেয়ে থাকে তবে পঁচিশজনই ভিন্নধর্মের ছেলের প্রেমের ফাঁদে পড়ে। পঁচিশজনের মধ্যে পনের জনের কোন কারনে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়, বাকি দশজন ঐ ছেলেদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়ে যায়। তারা বুঝতেও পারে না তাদের মুক্তিলাভের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ক্ষণিকের জন্য মোহ বশত কত বড় ভুল করা। মেয়েরা যদি ছোট বেলা থেকে কৃষ্ণভক্ত হত, তবে তারা কষ্ণকেই ভালবাসত, কখনোই ভুল পথে পা দিত না।

কলিযুগের বাবা-মায়েরাও অসুর সমতুল্য হয়ে গেছে। তাদের সন্তান সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠবে, মাছ-মাংস সবই খাবে, খেলাধুলা করবে, মেয়েদের পিছে ঘুড়বে, অবেধ যৌনসঙ্গ করবে পরের বউকে বের করে নিয়ে আসবে, সারা দিন টিভি দেখবে এটা কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা তখনি দেখা দিবে, যখন সন্তান অসৎ কর্ম ত্যাগ করে সৎ কর্ম করবে, হরে কৃষ্ণ কীর্তন করবে, কৃষ্ণনাম প্রচার করবে, তখনি যেন বাবা মার মাথায় বারি পড়ে, লেখাপড়া বাদ দিয়ে এসব কি শুরু করেছ, কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে শুধু ভগবানের নাম নিলেই হবে। কিন্তু এই সন্তানই যখন নামজপ করা বাদ দিয়ে টিভি দেখবে তাহলে কোন সমস্যা নেই, মেয়েদের পিছনে ঘুড়বে তাহলেও কোন সমস্যা নেই। অবশ্য এই সমস্ত বাবা-মায়ের দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই, কারণ তারাও তাদের বাবা-মার কাছ থেকে কোন পারমার্থিক জ্ঞান লাভ করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে সুযোগ এসেছে বাবা-মা পারমার্থিক জ্ঞান লাভ করার, তারা নিজেরা পারমার্থিক জ্ঞান লাভ করবে এবং সন্তানদের পারমার্থিক জ্ঞানে জ্ঞানী করে তুলবে। পিতা-মাতা সন্তানকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলবে, সেটা জাগতিক এবং পারমার্থিক উভয়ই।

জাগতিক শিক্ষার মাধ্যমে সন্তান, কিভাবে জড়জগতে স্বাচ্ছন্দ্য ভাবে বেঁচে থাকা যায় তার ব্যবস্থা হবে, অপরদিকে পারমার্থিক শিক্ষার ফলে সন্তান সৎ, চরিত্রবান হবে, পিতা মাতাকে মান্য করে চলবে, ভক্ত হবে, অবশেষে ভগবানের কাছে চলে যেতে পারবে। তাই সন্তানদের ছোট থেকেই কণ্ঠমালা, জপমালা দিতে হয় এবং নিয়মিত গীতা পড়িয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়। ছোট থাকতেই পারমার্থিক জ্ঞান দিতে হয়, তবে তা ফলপ্রসূ হয়। আর বড় হলে সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে যায় ফলে পারমার্থিক জ্ঞান তার মাথায় আর ডুকতে চায় না। যেমন ছোটদের যদি বলা হয়, ভক্তদের নেশা করতে হয় না, নেশা করা পাপ তাহলে সে কোন দিন নেশায় আসক্ত হবে না। আর বড়রা যারা নেশায় আসক্ত হয়ে গেছে তাদের বললেও নেশা ত্যাগ করতে  পারে নাযে সন্তানকে তার বাবা-মা পারমার্থিক জ্ঞান দেয়নি, সে সন্তান, নিশ্চিয় অসৎ হবে, চরিত্রহীন বা চরিত্রহীনা হবে, সকল প্রকার অপকর্মে লিপ্ত থাকবে, নেশা, নারী, জুয়া এগুলো নিয়েই থাকবে, শেষে বাবা-মাকে ভাত দিবে না, বউ নিয়ে আলাদা হয়ে যাবে, সারা জীবন আমিষ আহার, নেশা করার ফলে কষ্ট পেতে পেতে মারা যাবে, সর্বপরি কৃষ্ণভক্ত না হওয়ার কারণে নরকগামী হবে। আর বাবা-মা এই দোষে দোষী হয়ে তারাও নরকগামী হবে।

কলিযুগের ঘটনা

কলিযুগের মানুষ অনুগত প্রাণ, এক বেলা না খেয়ে তারা থাকতে পারে না। সামনে এমন সময় আসতেছে একমুঠো অন্নের জন্য সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। কৃষ্ণ সেবার জন্য, যথা সম্ভব অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে। পারমার্থিক জীবনের মধ্যে কাজকর্ম, লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য সবই রয়েছে। বর্তমানে সঙ্কট পূর্ণ পৃথিবীতে অর্জনে পটু হতে হবে, সকল কাজ মনযোগের সহিত করতে হবে লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী, কৃষ্ণ সেবা সবই। কখনই অলসভাবে থাকা যাবে না, অলস ব্যক্তি এই জীবনে সুখ লাভ করতে পারে না, পরজন্মেও সুখ লাভ করতে পারে না। অকর্মন্য মস্তিক শয়তানের কারখানা, আর কলির প্রভাবে মন কলুষতা হয়েই আছে। তাই যথাসম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে ভগবানের সেবায়, যেমনজপ করা, কীর্তন করা, ভগবানের বই পড়া, কৃষ্ণের জন্য প্রসাদ রন্ধন করা, কষ্ণনাম প্রচার করা, এমন কি নিজের লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্যর কাজেও।

আমরা জড়জগতে এসে বিপদে পড়েছি। সমস্যা ভগবানের নয় সমস্যা আমাদের। আমরা সুস্থ থাকার জন্য ভগবানকে ডাকি, তার কাছে চলে যাওয়ার জন্য তাকে ডাকি। তাই জড় জগতে হাজারো প্রতিকল পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে কৃষ্ণের কাছে চলে যেতে হবে, কোন রকম অজুহাত নয় সর্বোত্ৰভাবে চেষ্টা করতে হবে কি করলে এই দুঃখপূর্ণ জরা ব্যাধিময় জডজগৎ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

অনেকের ধারণা বৃদ্ধ বয়সে ধর্মকর্ম সারাজীবন যত অপকর্ম করেছে তা কোন সমস্যা নয়। মনে রাখা উচিত কোন পাপের ক্ষমা নেই, ভগবান কৃপা করেন ভক্তদের অভক্তদের নয়। বৃদ্ধ বয়সে ধর্মকর্ম করলেই কোন লাভ হয় না যেমন, বৃদ্ধ গাছে জল ঢাললেই আর ফল দেয় না। আর আমরা কি জানি, আমরা বুদ্ধ অবস্থায় মারা যাব, নাকি যুবক অবস্থায় মারা যাব। ভগবান যুবকদের দেখবেন তার শরীরে যখন শক্তি ছিল, সামর্থ্য ছিল তখন সে আমার জন্য কি করেছে। তাই জীবনের প্রথম থেকেই কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত হতে হয়, পারমার্থিক জীবন যাপন করতে হয়।

নাম জপ নিয়ম / প্রার্থনা বিধি জানতে এখানে ক্লিক করুন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন